Bounce Rate কি? ১০টি উপায়ে আপনার ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কমিয়ে আনুন।

High Bounce Rate আপনার ওয়েবসাইটের র‍্যঙ্কিং হারানোর একটি বড় কারন হয়ে উঠতে পারে। তাই আপনাকে অবশ্যই জানতে হবে আপনার ওয়েবসাইটের Bounce Rate কত? এবং আপনি কিভাবে সেই Bounce Rate কে কমিয়ে আনতে পারেন।

আপনাদের জানিয়ে রাখা ভালো যে কোন ওয়েবসাইটের Bounce Rate যদি ৫০% এর বেশী হয় তাহলে সেটিকে High Bounce Rate হিসেবে ধরা হয়।


reduce-high-bounce-rate

তো আজকের টপিকে আমি আপনাদের সাথে শেয়ার করবঃ

Bounce Rate কি? Bounce Rate বৃদ্ধি কেন হয়? এবং কিভাবে একটি ওয়েবসাইটের Bounce Rate কমিয়ে আনা যায়?

আমি চেস্টা করব প্রত্যেকটি বিষয় নিয়ে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করার যাতে আপনারা এ সম্পর্কে ভালো একটি ধারণা নিতে পারে। এবং যারা এসইও শিখতে চান আশা করি তাদের জন্য এই লেখা গুলো খুবই সাহায্যকর হবে।

মনে করুন আপনি ওয়েবসাইটটি কোন একটি টপিকের উপর গুগলের প্রথম র‍্যঙ্কিংয়ে আছে। এখন যদি আপনার ওয়েবসাইটের বাউন্স-রেট আপনার কম্পিটিটরদের থেকে তুলনামুলক অনেক বেশি হয়, তাহলে গুগলে আপনার ওয়েবসাইটের যে পজিশন রয়েছে সেটি আসতে আসতে নিচের দিকে নেমে আসতে শুরু করবে।

সেজন্য এই ব্যপারটি নিয়ে সকলের সতর্ক থাকা উচিত। তো চলুন প্রথমেই জেনে নেওয়া যাক...

বাউন্স-রেট কি? What Is Bounce Rate?


Google Analytics এর সঙ্গা অনুসারে বাউন্স-রেট হলো "আপনার ওয়েবসাইটের একটি সিংগেল পেজে একজন ইউজারের মাত্রাকালের একটি পার্সেনটেজ।"

অর্থাৎ একজন ভিসিটর আপনার ওয়েবসাইটে এসে কতক্ষণ থাকলো এবং সে যে পেজে এসেছিল সেই থেকেই চলে গেল নাকি অন্য কোন পেজে ইন্টার করল তার একটি পার্সেনটেজই হলো বাউন্স-রেট।

আশা করি বাউন্স-রেট কি সেটা বুঝতে হইতো আর কারো সমস্যা নেই। এখন কথা হচ্ছে আপনি কিভাব খুজে পাবে যে, আপনার ওয়েবসাইটের বাউন্স-রেট কত?

বাউন্স-রেট দেখার জন্য আপনার ওয়েবসাইটটি অবশ্যই Google Analytics এর সাথে যুক্ত থাকতে হবে।
তো আপনার গুগল এনালিস্টিকের মেইন পেজ থেকে যদি BEHABIOR সেকশনটিতে ক্লিক করেন তাহলে Site Content নামে একটি অপশন পাবেন। ওখানে ক্লিক করলে All Pages নামে অপশন পাবেন এবং সেটি ক্লিক করলে আপনার বাউন্স-রেট দেখতে পাবেন। আরো ভালো ভাবে বুঝার জন্য নিচের ছবিটি ভালো করে খেয়াল করুন।

check-bounce-rate

এই পেজে গিয়ে আপনার ওয়েবসাইটের এর এভারেজ বাউন্স-রেট কত সেটা দেখতে পারবেন এবং কোন পেজের বাউন্স-রেট বেশি সেটাও আলাদা আলাদা ভাবে দেখতে পারবেন। ফলে সহজেই বুঝতে পারবেন কোন পেজগুলোকে বাউন্স-রেট কমানোর জন্য অপটিমাইজেশন করতে হবে।

তারপর যে বিষয়টি জানা প্রয়োজন যে......

High বাউন্স-রেট এর কারন কি? Causes of High Bounce Rate?


1. The Visitor did not find what he or She Was looking for.

একজন ভিসিটর সার্চ ইঞ্জিন থেকে যখন আপনার সাইটে প্রবেশ করে তখন সে কোনো কিছু সার্চ করে আপনার সাইটে আসে। কিন্তু সে যদি এসে দেখে আপনার ওয়েবসাইট সে রিলেটেড না, অর্থাৎ সে যখন এসে তার বিষয়টি খুজে না পাই তখন লিভ নিতে বাধ্য হয়।

এভাবে আপনার সাইটের বাউন্স-রেট বেড়ে যেতে পারে।

2. The Web Page is too difficult to Use.

হইতো আপনার ওয়েবসাইটটি রেসপনসিভ না। হইতো আপনার ওয়েবসাইটের টেক্সট গুলো পড়া যাচ্ছে না। হইতো আপনার ওয়েবপেজের লেখাগুলো অনেক ছোট। যার ফলে সার্চ ইঞ্জিন থেকে ইউজার তো আসছে, কিন্তু তারা আপনার ওয়েবসাইট ব্যবহার না করতে পেরে লিভ নিচ্ছে এবং আপনার সাইটের বাউন্স-রেট বেড়ে যাচ্ছে।

এছাড়াও অনেক গুলো কারন রয়েছে বাউন্স-রেট বেড়ে যাওয়ার পিছনে। তবে এদুটো হচ্ছে প্রধান কারণ এবং এদুটি কারনের উপর যদি আপনি সতর্কতা অবলম্বন করতে পারেন তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের বাউন্স-রেট অনেকাংশে কমে আসবে আশা করা যায়।

তো আজকে আপনাদের সাথে এমন ১০টি উপায় নিয়ে কথা বলব যেগুলো ব্যবহার করে সহজেই আপনার ওয়েবসাইটের বাউন্স রেট কমাতে পারে। তাহলে চলুন উপায়গুলো যেনে নেওয়া যাকঃ-

10 Ways To Reduce Your High Bounce Rate?

1. Target The Right User

আপনি যখন একটি ওয়েবসাইট খুলবেন নিশ্চয় সেটি কিছু টার্গেটেড ইউজারদের খুলবেন অর্থাৎ যাদের আপনার টপিকের উপর যাদের আগ্রহ আছে শুধুমাত্র তাদেরকেই টার্গেট করার চেষ্টা করবেন।

যেমন আপনি যদি টেকনোলজি রিলেটেড সাইট খুলে থাকেন তাহলে তাদেরকেই টার্গেট করুন যাদের টেকনোলজি সম্পর্কে আগ্রহ রয়েছে।
যদি আপনার নিশ রিলেটেড ভিসিটর না পান তাহলে বাউন্স-রেট বেড়ে যাওয়ার সম্ভাবনা রয়েছে।

তো টপিক রিলেটেড ট্রাফিক পাওয়ার জন্য গুগলকে অবশ্যই বুঝাতে হবে আপনার ওয়েবসাইটটি কি রিলেটেড। সে জন্য আপনার টপিক অনুযায়ী সাইটের জন্য অপমাইজ টাইটেল এবং মেটা ডেসক্রিপশন ব্যবহার করতে হবে।

2. Always Set External Link to Open a New windiws.

তো বিষয়টি এমন যে যখনই আমরা কোনো External Link সেট করি আমাদের সাইটে, ইউজার যখন সেটি ক্লিক করবে সেটা যে নতুন একটি Window তে চালু হয়।

এর ফলে সে অন্য পেজে চলে গেলেও আপনার ওয়েবসাইটের পেজটি খোলায় থাকবে এবং আপনার সাইটের বাউন্স-রেট কিছুটা হলেও কমাতে সক্ষম হবে।

3. Improve Your Content Readability.

এটি বাউন্স-রেট কমানোর জন্য খুবই গুরুপ্তপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
ধরুন আপনি অনেক ভালো ভালো আর্টিকেল লিখছেন কিন্তু আপনার ওয়েবসাইটে যে টেক্সট গুলো রয়েছে সেগুলো ইউজাররা পড়তেই পাচ্ছেনা। ফলে তারা বাধ্য হয়ে লিভ নিচ্ছে। এতে করে সাইটের বাউন্স-রেট বেড়ে যাবে।

এজন্য কয়েকটি বিষয় লক্ষ রাখতে হবে যে, আপনার সাইটের লেখাগুলোর মধ্যে যেন যথেষ্ঠ স্পেস থাকে, টেক্সট এর সাইজ যে একটু বড় হয় যাতে সকলেই সহজে সেটি পড়তে পারে।

এজন্য আপনি আপনার কম্পিটিটরদের ওয়েবসাইট কিংবা ভালো ভালো ওয়েবসাইটের ডিজাইন গুলো দেখে ধারনা নিতে পারেন।

4. Use Internal Link When Appropriate.

আপনার ওয়েবসাইটে ইন্টারনাল লিঙ্কিং করা খুবই প্রয়োজন। এবং এটি বাউন্স-রেট কমানোর বেস্ট উপায়।
এটিতে মূলত কাজ হলো আপনার লেখার মধ্যে প্রয়োজন অনুযায়ী ভালো দেখে অন্য রিলেটেড কন্টেন্টগুলো লিঙ্কিং করে দেওয়া। ফলে কোনো ইউজার যখন আপনার টপিকটি পড়বে হতে পারে সে ঐ টপিকটিও পড়ল। এভাবে আপনার সাইটের বাউন্স-রেট অনেকাংশে কমানো সম্ভব।

5. Create a responsive website.

আপনি যখন একটি ওয়েবসাইট খুলবেন অবশ্যই খেয়াল রাখবেন যেন সেটি রেসপনসিভ হয় অর্থাৎ মোবাইল, ডেস্কটপ, ল্যাপটপ, ট্যবল্যট সবগুলোতেই আপনার ওয়েবপেজটি যেন ভালোভাবে দেখায়। ফলে আপনার সাইটটি ইউজার ফ্রেন্ডলি হবে এবং যা সাইটের বাউন্স-রেট কমাতে সাহায্য করবে।

এছাড়া গুগল রেসপনসিভ ওয়েবসাইটকে র‍্যঙ্কিংয়ের জন্য বেশি গুরুত্ব দিয়ে থাকে।

6. Avoid Pop-up Ads. Don't Distrub your User.

আমরা অনেকেই আমাদের ওয়েবসাইটে পপ-আপ এডস ইউজ করি, যেগুলো ইউজারদের খুবই বিরক্ত করে। আপনি চাইলে আপনার কন্টেন্ট রিলেটেড সামান্য পপ-আপ উইজ করতে পারেন সেটাই সমস্যা নেই।

কিন্তু আপনি যদি অতিরিক্ত পরিমানে কন্টেন্ট বহির্গত পপ-আপ এডস ইউজ করেন, এতে করে ইউজাররা বিরক্ত হয়ে আপনার ওয়েবসাইট লিভ নেওয়ার সম্ভাবনাই বেশি। তো এক্ষেত্রে আমি বলব সাইটে পপ-আপ এডস ব্যবহার না করাই সবথেকে বুদ্ধিমানের কাজ।

7. Create a Compelling Call-to-Action.

যখনই কোনো উদ্দেশ্য নিয়ে কোনো কন্টেন্ট লিখবেন সেটি আপনার ইউজারদের ভালোভাবে বুজিয়ে বলার চেষ্টা করবেন।
যেমন আপনি যদি ইমেল কালেক্ট করার জন্যে কোনো কন্টেন্ট লিখে থাকেন সেখানে ইমেল সাবস্ক্রাইব করলে তারা কি সুবিধা পাবে এবং কিভাবে করতে হবে সে বিষয়ে পরিষ্কার ধারনা দিয়ে তারপর ইমেল কালেক্ট করার পেজে নিয়ে যাবেন।

অর্থাৎ যখন কোন ইউজার অন্য একটি পেজ থেকে অন্য পেজে কনভার্ট করে নিয়ে যাওয়ার জন্য একটি ক্লিয়ার Call-to-Action ব্যবহার করবেন।

8. Make Your website Faster.

আপনার ওয়েবসাইটের Loading Speed বাড়াতে হবে। আপনার ওয়েবসাইট যদি অনেক স্লো হয় তাহলে ইউজাররা ওয়েবপেজ গুলো খোলার আগেই লিভ নিতে পারে। যেটি বাউন্স-রেট অনেক পরিমানে বাড়িয়ে দিতে পারে। তাই অবশ্যই আপনার ওয়েবসাইটের Loading Speed এর উপর নজর রাখতে হবে।
একটি ওয়েবপেজের স্বাভাবিক Load Time হলো ২-৪ সেকেন্ড।

9. Create Quality Content.

আমরা সকলেই কম বেশি যানি যে Content Is the King.

অর্থাৎ আমাদের কন্টেন্টের কোয়ালিটি যদি ভালো না হয় কোনো ইউজার এসেই সেগুলো পড়বে না এবং আমাদের ওয়েবসাইটে বেশিক্ষণ থাকবেও না। তাই সাইটের বাউন্স-রেট কমাতে কন্টেন্টের উপর বেশি গুরুত্ব দিতে হবে।

10. Make Interesting Navigation Bar.

ন্যাভিগেশন বার একটি ওয়েবসাইটের প্রেসেন্টেশন বার ও বলতে পারেন। তাই এর মধ্যে ইন্টারেস্টিং বিষয় গুলোর লিঙ্ক দিয়ে রাখুন যেগুলো উপর একজন ভিসিটরের পড়ার আগ্রহ থাকে। হইতো এভাবে আপনার ওয়েবসাইটের বাউন্স-রেট কিছুটা কমিয়ে নিতে পারবেন।

তো যদি এই লেখাগুলো যদি একটুও সাহায্য করে থাকে অবশ্যই সবার সাথে শেয়ার করবেন। এবং এ বিষয়ে যদি কারো বুজতে কোন সমস্যা হয় তবে কমেন্ট করে অবশ্যই জানাবেন।

আর শেষ কথা হলো আপনার ওয়েবসাইটিকে Google analytic এর সাথে যুক্ত করে অবশ্যই আপনার সাইটের বাউন্স-রেট যেনে নিবেন। এবং আপনার সাইটের বাউন্স-রেট যদি বেশি হয়ে তবে উপরক্ত বিষয়গুলোর মাধ্যমে কমানোর চেষ্টা করবেন।