10 Best Niche For Start A Bengali Blog or Website.

তো ইউটিউব দেখে, ব্লগ পড়ে ব্লগিং করা তো শুরু করে ফেলেছেন কিন্তু বুঝে উঠতে পারছেন না কোন টপিক নিয়ে লেখালেখি করবেন আজকের আর্টিকেল তাদের জন্যই। দেখুন প্রযুক্তির যুগে আমরা ব্লগে ইউটিউবে একটু খোজাখুজি করলেই সহজেই কিভাবে ব্লগ তৈরি করতে তার টিউটোরিয়াল পেয়ে যায় এবং সেটা দেখে আমরা সহজেই একটি ব্লগ খুলে ফেলতে পারি সেখানে ডোমেইনও সেট করে ফেলতে পারি কিন্তু তারপর যে সমস্যাটা হয় কোন টপিক নিয়ে লেখালেখি করব সেটা ঠিক করতে পারিনা।
কোন টপিক নিয়ে ব্লগ শুরু করলে তাড়াতাড়ি ওয়েবসাইট গুগলে র‍্যঙ্ক করবে কোন টপিক বেশি প্রফিটেবল হবে এসব চিন্তা করতে করতে অনেক সময় ব্যায় হয়ে যায় ফলে ব্লগিং শুরু করতে অনেক সময় লেগে যায়। তবে ইংরেজিতে ব্লগিং করার জন্য ইন্টারনেটে অনেক প্রফিটেবল লো কম্পিটিশন টপিক বা নিশ এর সম্পর্কে ধারনা দেওয়া আছে। সেখান থেকে সহজেই যে কেউ একটি টপিক এর উপর লেখালেখি শুরু করে দিতে পারে। কিন্তু যারা বাংলায় ব্লগিং করেন তারা অনলাইনে জগতে অনেক ঘাটাঘাটি করেও একটা ভালো মানের টপিক সিলেক্ট করে উঠতে পারেনা।
10-Best-Niche-Bengali-Blog

তাই আজ আপনাদের সাথে বাংলায় ব্লগিং (Blogging) করার জন্য ১০টি জনপ্রিয় নিশ (Niche) সম্পর্কে কথা বলব।

যে গুলোর মধ্যে দিয়ে আপনি যেকোন একটি টপিক নিয়ে লেখালেখি শুরু করে দিতে পারেন। তো চলুন শুরু করা যাকঃ-

1. News Zone

নিউজ রিলেটেড ব্লগ গুলো খুবই দ্রুত সাকসেসফুল হয় কারন তাদের কন্টেন্ট এর অভাব হয়না। এবং প্রতিদিন অনেক অনেক আর্টিকেল শেয়ার করার ফলে সহজেই ভিজিটর জোগাড় করতে পারে এবং অনেক সময় তাদেরকে ধরে রাখতে সক্ষম হই। ইন্টারনেটের এই যুগে বেশিরভাগ মানুষই সংবাদপত্র ছেড়ে অনলাইনে নিউজ পড়তে সাচ্ছন্দবোধ করে। তাই এধরনের ব্লগ গুলোর জনপ্রিয়তা অনেক বেশি। নিউজ একটি অনেক বড় একটা নিশ। আপনি চাইলে এর মধ্যে থেকে যেকোন একটা নিউজ সম্পর্কে লেখালেখি করতে পারেন যেমনঃ-
  • বিনোদন নিউজ
  • দেশ-বিদেশের নিউজ
  • রাজনৈতিক নিউজ
  • খেলার নিউজ ইত্যাদি
অথবা কয়েকটি নিউজ ক্যাটাগরিকে একসাথে মিলিয়েও আপনার ব্লগ শুরু করতে পারেন।

2. Lifestyle

লাইফস্টাইল অনেক বড় একটি নিশ। এর মধ্যে অনেক ছোট ছোট সাব-নিশ চলে আসে যেমনঃ-
  • পার্সোনাল ডেভেলপমেন্ট
  • রিলেশনশিপ
  • ডেটিং
  • ম্যারিড লাইফ
  • ট্রাভেল ইত্যাদি।
তো আপনি চাইলে এর যে কোনো একটি টপিক এর উপর মাইক্রোনিশ (Micro-Niche) ওয়েবসাইট বানাতে পারেন এবং শুধু সেই বিষয়ের উপর লেখালেখি করতে পারেন অথবা পুরো লাইফস্টাইল নিয়েই ব্লগিং শুরু করে সেখানে অনেকগুলো আলাদা আলাদা ক্যাটাগরি করে লেখালেখি করতে পারেন। আমাদের দৈনন্দিন জীবনে অনেক সমস্যা দেখা দেয় যেমন নিজেকে কিভাবে গড়ে তুলব রিলেশপশিপে প্রবলেম। প্রযুক্তির এই যুগে বেশীর মানুষ অনলাইনেই এগুলোর সমাধান খুজে থাকে। তাছাড়া অনেক ভ্রমন প্রিয় ব্যক্তিরা তাদের ভ্রমনের জায়গা গুলোকে সিলেক্ট করার জন্য অনলাইনেই খোজ করে থাকেন। তো সবকিছু মিলিয়ে এই টপিকের উপর প্রতিদিন অনেক অনেক সার্চ হয় এবং এটি অনলাইনে অনেক জনপ্রিয় বিষয় আর আপনি যদি বাংলায় ব্লগিং করে থাকেন তাহলে এটি আপনার জন্য বেস্ট টপিক।

3. Beauty & Fashion

এই নিশের সবথেকে বড় সুবিধা হল এটার কম্পিটিশন এখনো অনেক কম। ইতিমধ্যে অনেকেই এই বিষয় নিয়ে কাজ করা শুরু করলেও তুলনামুলক ভাবে অনেক লো কম্পিটিশন বিষয় এটি। তাই আপনি চাইলে সহজেই এই টপিকে লেখালেখি করে সাকসেস পেতে পারেন। আরেকটি ব্যাপার হলো এই ক্যাটাগরি তে অনেক প্রোডাক্ট আছে যেমন লিপস্টিক মেকআপ ইত্যাদি এবং এ বিষয় সম্পর্কে অনেকেই জানতেও আগ্রহি কারন বেশিরভাগ প্রোডাক্টই বেশ দামি হয়ে থাকে তাই কেনার আগে কোন ব্রান্ডটি বেশি ভালো হবে কোনটার দাম তুলনামুলক ভাবে কম হবে এনিয়ে অনেক সার্চ হয়। তো আপনি বিভিন্ন ব্রান্ড এর প্রোডাক্টগুলো নিয়ে রিভিউ করতে পারেব, কয়েকটি ব্রান্ডের মধ্যে কম্পেয়ার করে দেখাতে পারেন। এসকল বিষয়ে আপনি ওয়েবসাইট বা ইউটিউবে ধারনা পেয়ে যাবেন। যেহেতু এই পন্য গুলো ভালো সেল হয়, আপনি এধরনের ক্যাটাগরি থেকে গুগল এডসেন্স এবং অ্যাফিলিয়েট  মার্কেটিং দুভাবেই আয় করতে পারবেন।
দেখুন এই টপিক এর উপর বেশির ভাগ লোক কাজ করে না কারন বিউটি প্রোডাক্ট শুধু মাত্র মেয়েরাই ব্যবহার করে এজন্য এবিষয়ে সবার তেমন একটা ধারণা থাকেনা। তাই কোনো মেয়ে যদি ব্লগিং ক্যারিয়ার শুরু করতে চাই তাহলে Beauty & Fashion তার জন্য বেস্ট টপিক হবে।

4. Culture & Festible

বাংলাতে ব্লগিং করার জন্য এটি খুবই ভালো একটা নিশ।এর আরো একটি সুবিধা এই নিশের এতো এতো টপিক আছে যে আপনি আর্টিকেল লিখে শেষ করতে পারবেন না। তো এখানে মুলত কাজ হলো আপনাকে যেকোন ফেস্টিভ্যাল যেমন ঈদ, পূজা, নতুন বছর এসব সম্পর্কে আর্টিকেল লিখে আপনার ব্লগে পাবলিশ করে দেওয়া। যেমন ধরুন এবছরে ঈদ কোন সময় হবে, পূজা কোন সময় শুরু হবে এরকম যেকোনো ধরনের ফেস্টিভ্যাল কোন তারিখে শুরু হবে কোন তারিখে শেষ হবে এসকল ফেস্টিভ্যাল এ কি কি ধরনের প্রোগ্রাম করা যেতে পারে এসব নিয়ে বিস্তারিত লিখালিখি করতে পারেন। আপনি যদি এ বিষয় নিয়ে আগ্রহী হয়ে থাকেন তবে এ নিয়ে একটি ব্লগ খুলতে পারেন। এধরনের ব্লগে বড় সুবিধা হলো সাধারন ব্লগিং এর মতো তো আয় করতে পারবেনই তাছাড়া আলাদা আলাদা উৎসবগুলোর সময়ে এই বিষয়গুলো নিয়ে অনেক বেশি পরিমানে সার্চ হয়ে থাকে। সেক্ষেত্রে আপনি ইভেন্ট ব্লগেরও কিছুটা সুবিধা লাভ করবেন এবং কিছু সময়ের জন্য আপনার আর্নিংও বাড়িয়ে নিতে পারবেন।

5. Health Niche

কথ্য আছে স্বাস্থ্যই সকল সুখের মুল। তো কেউ যদি হেলথ টপিক নিয়ে ব্লগিং শুরু করতে আগ্রহি হইন তাহলে এখনি শুরু করে ফেলুন কারন অনলাইনে এর অনেক চাহিদা আছে এবং সব থেকে বড় সুবিধা হলো লেখালেখির জন্য অনেক সহজেই এর উপর অনেক কন্টেন্ট পেয়ে যাবেন। দিন যত যাচ্ছে নতুন নতুন রোগ আবিষ্কার হচ্ছে আর তার সমাধানও বের হচ্ছে তাই এই নিশ এর উপর কি পরিমান ট্রাফিক আছে তা নিয়ে হইতো আলাদা করে কিছু বলতে হবেনা। তবে এই বিষয়ে কম্পিটিশন একটু বেশি তাই শুধু আগ্রহীরাই এই টপিক নিয়ে শুরু করা ভালো। তবে আপনি চাইলে এই ক্যাটাগরির একটা সাব-ক্যাটাগরি নিয়ে লেখালেখি শুরু করতে পারেন। যেমনঃ-
  • ফিটনেস
  • ডায়াবেটিস
  • হার্ট-ডিসেস
  • শারীরিক কষরত/ব্যায়াম
  • ডায়েট ইত্যাদি

6. Education

আপনার যদি এডুকেশন সম্পর্কে ব্লগিং করার ইচ্ছা থাকে তাহলে আপনি বেশ সফলতা লাভ করতে পারেন। কারন আজকাল বেশির ভাগই স্টুডেন্টস ইন্টারনেটে শিখতে বেশ আগ্রহী। তাই সাধারন বইপত্রের থেকে অনলাইন ইবুক ফোরাম বেশি জনপ্রিয়। তাই আপনার যদি কোন বিষয়ে যথেষ্ঠ পরিমান জ্ঞান থাকে তাহলে সে বিষয়ে লিখে আপনার ব্লগে পাবলিশ করে দিতে পারেন।

7. Tutorial Niche

টিউটোরিয়াল একটি জনপ্রিয় এবং খুব প্রফিটেবল নিশ। অনলাইনে এই টপিক গুলোর চাহিদা সবথেকে বেশি এবং এ বিষয়ের ব্লগ থেকে আয়ের পরিমানও বেশী। তবে আপনাকে এই টপিক সম্পর্কে কাজ করতে হলে আগে থেকে কিছু জানতে হবে। তো এখানে মূলত আপনি যে বিষয়গুলো জানেন সেগুলো আপনার ওয়েবসাইটের মাধ্যমে আপনার ভিসিটরদের শেখানো। যেমন ধরুনঃ-
  • আপনি ব্লগিং সম্পর্কে ভালো জানেন
  • কিংবা ওয়ার্ডপ্রেস সম্পর্কে জানেন
  • আপনি হয়তো ফটোশপের কাজ জানেন
  • কিংবা ইউটিউব সম্পর্কে জানেন
তো এই বিষয়গুলোই আপনার ভিসিটরদের কে শেখানোয় হচ্ছে টিউটোরিয়াল নিশের কাজ। যদিও এটি প্রফিটেবল নিশ তবে আপনি যদি কোন বিষয়ে দক্ষ না হন তবে এই টপিক নিয়ে কাজ না করাই উত্তম।

8. Money & Business

বিজনেস রিলেটেড ওয়েবসাইট গুলো দিন দিন অনেক জনপ্রিয় হয়ে উঠছে। প্রযুক্তি যত এগিয়ে যাচ্ছে মানুষও তাদের সমস্যা গুলো কে ঘরে বসেই সমাধানের চেস্টা করছে। আর সেক্ষেত্রে ইন্টারনেটের ভূমিকা অনেক। তো এখানে আপনাকে যেটা করা লাগবে তাহলো বিভিন্ন ব্যবসা-বানির্জ্য সম্পর্কে মানুষকে ধারনা দেওয়া। যেমন এতো টাকা পুজি নিয়ে এই বিজনেস শুরু করলে আপনি সফল হতে পারবেন। দেখুন সকলেই একটা নির্দিষ্ট পরিমান অর্থ নিয়ে ব্যবসার দিকে চোখ দেয় এবং এই পরিমান অর্থ দিয়ে কিধরনের বিজনেস শুরু করা উচিত অনেকেই এবিষয় নিয়ে খোজাখুজি করে সেক্ষেত্রে এই সম্পর্কে অনলাইনে যথেষ্ঠ ট্রাফিক পাবেন আপনার ব্লগের জন্য। তাছাড়া এযুগে চাকরীর বাজারদর অনেক কড়া তাই বেশির ভাগ মানুষই চাকরী না পেয়ে বিজনেসের দিকে ঝুকে। তো আপনার ব্লগে তাদেরকে মোটিভেশন করতে পারেন, তাছাড়া বিজনেস সম্পর্কে বিভিন্ন ধরনের টিপস দিতে পারেন যেমনঃ-
  • বিজনেস শুরু করার ভবিষ্যৎ কি এর সুবিধা কি কি।
  • চাকরির করা ভালো নাকি বিজনেস করা ভালো
  • কিভাবে বিজনেস করলে সাকসেসফুল হওয়া যায়
  • বিজনেস থেকে উপার্জিত টাকা কিভাবে ধরে রাখা যায়
  • কিভাবে নিজের একটি প্রতিষ্ঠান গড়ে তোলা যায় ইত্যাদি।
এসব বিষয় নিয়ে আপনার ব্লগে লেখালেখি করতে পারেন।

9. Web Design, Domain & Hosting

এইটা টপিক শুধুমাত্র তাদের জন্যই যারা Web Design & Develop করতে পারেন।  কোডিং সম্পর্কে ভালো ধারনা আছে, Domain, Hosting এর ব্যপারে ধারনা আছে এবং যারা এবিষয়গুলো নিয়ে ফ্রিলান্সিং করছেন। তো এই যে কোডিং, ওয়েব ডিজাইন, ডেভেলপমেন্ট, ডোমেইন, হোস্টিং সম্পর্কে ইংরেজি অনেক আর্টিকেল থাকলেও বাংলাতে তেমন ভালো কোন পোষ্ট এমনি ব্লগও খুজে পাওয়া যায় সেক্ষেত্রে আপনি এই বিষয় গুলো বাংলায় আপনার ভিসিটর দেরকে সেখাতে পারেন। এধরনের ব্লগ বেশ জনপ্রিয় এবং প্রফিটেবল।

10. Self Passions.

সর্বশেষ যে নিশটা নিয়ে কথা বলব সেটা হল নিজের প্যাসোন। আপনি চাইলে আপনার পছন্দের ক্যাটাগরি অনুযায়ী একটি ব্লগ তৈরি করতে পারেন। Only Passion can beat Your Competitors. অর্থাৎ যে বিষয়টি নিয়ে আপনি অনেক সাচ্ছন্দবোধ করেন সেই বিষয় নিয়েই লেখালেখি শুরু করতে পারেন। উদাহরণস্বরূপ আপনি যদি ভালো গিটার বাজাতে পারেন এবং সেটা যদি আপনার Passion হয় তাহলে  গিটার সম্পর্কে ব্লগিং করতে পারেন। সেখান আপনার ভিসিটর কি ভাবে গিটার বাজাতে হয় সেগুলো সেখাতে পারে। বিভিন্ন গিটার নিয়ে রিভিও করে দেখাতে পারেন। আর সত্যিই যদি আপনি টপিকটি নিয়ে Passonate হন তাহলে ১০০% আপনি সফল হবেন।

তো এই ১০টি নিশের মধ্যে আপনার কাছে কোন নিশটি ভালো লেগেছে এবং কোন নিশ নিয়ে আপনি কাজ করতে আগ্রহী অবশ্যই জানাবেন। লেখাটি ভালো লাগলে অবশ্যই আপনার বন্ধুদের সাথে শেয়ার করবেন। ভালো থাকবেন সবাই।  Happy Blogging......