গত বেশ কয়েকটি পর্বে আমরা এসইও বলতে শুধুমাত্র গুগল গুগল করতেছি। কিন্তু কেন আমরা অন্য কোনো সার্চ ইঞ্জিনের নাম নিচ্ছি না কিংবা আপনারা অনেকেই হইতো জানেনও না গুগল ছাড়া অন্য কোনো সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে। তো আজকের পর্বে আমরা জানবো পৃথিবিতে এতো এতো সার্চ ইঞ্জিন থাকা সত্ত্বেও...........
আপনারা হইতো অনেকেই জানেন না, পৃথিবিতে গুগল ছাড়াও আরো অনেক সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে। যেমন Yahoo.Com, Bing.Com, duckduckgo.Com, Baidu.com, Yandex.com ইত্যাদি এমন প্রচুর পরিমানে সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে। কিন্তু তারপরও শুরু থেকে আমরা শুধু গুগলের পিছনেই পড়ে আছি? এর কারনগুলো নিয়ে আজ আলোচনা করব।
Wikipedia এর দেওয়া এক তথ্য অনুযায়ী সার্চ ইঞ্জিনের দিক দিয়েঃ
এখানে দেখা যাচ্ছে গুগল এর পর মোটামুটি বাইডু এর মার্কেট শেয়ার একটু বড় রয়েছে। তবে আরেকটি ব্যপার হচ্ছে বাইডু হচ্ছে একটি চাইনীজ সার্চ ইঞ্জিন মানে হলো এটা শুধুমাত্র চাইনার মানুষই ব্যবহার করে এবং এটি শুধু চাইনিজ ভাষায় সার্চ করার জন্যই ব্যবহার করা হয়। এবং চাইনা এতোটা জনবহুল দেশ যে, শুধুমাত্র চাইনার সার্চ দিয়েই পুরো বিশ্বে প্রায় ১১% মার্কেট শেয়ার দখল করে ফেলেছে এই বাইডু। তো সেক্ষেত্রে বাইডুর এই মার্কেট শেয়ার বাদ দিলে পুরো বিশ্বে গুগলের মার্কেট শেয়ার বেড়ে প্রায় ৯০% এর কাছাকাছি চলে যায়। এবং বাকি অন্নান্য সব সার্চ ইঞ্জিন গুলো মিলিয়ে ১০% এর মতো থাকে।
এখন চিন্তা করে দেখুন একটা সার্চ ইঞ্জিন যেটা পুরো বিশ্বে প্রায় ৮০-৯০% জায়গা দখল করে রেখেছে সেখানে অন্নান্য সার্চ ইঞ্জিন গুলোর রয়েছে মাত্র ১০-১৫ ভাগ অর্থাৎ পুরোবিশ্বে এতোগুলো মানুষ সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে গুগল কেই বেছে নিয়েছে তাইলে এসইও এর জন্য কেন আমরা গুগল গুগল করবো না? আর কেনোই গুগল ছাড়া অন্নান্য সার্চ ইঞ্জিনের জন্য আমাদের ওয়েবসাইট অপটিমাইজ করার জন্য সময় কিংবা অর্থ ব্যয় করব?
এখন একটি প্রশ্ন থাকতে পারে আমরা যদি শুধুমাত্র গুগলের জন্য আমাদের সাইট অপটিমাইজ করি তাহলে এই Bing, Yahoo হাবিজাবি সার্চ ইঞ্জিনের যে ১০-১৫% ইউজারগুলো কে কেনো আমরা মিস করব কিংবা এই ইউজার গুলোকে মিস করা কি উচিত হবে?
হ্যা...... এটা ঠিক যে মার্কেটপ্লেস থেকে ১টি ইউজারও অনেক গুরুত্বপুর্ন কারন এখান থেকে বেশীর ভাগই অগ্রানিক টাফিক গুলো আসে অর্থাৎ তাদের আপনার ওয়েবসাইটের উপর হাইলি ইন্টারেস্ট থাকে, সে জন্য এখান থেকে একজন ইউজার হারানোও ঠিক হবে নাহ। তবে যখন আপনার ওয়েবসাইটটি গুগলের জন্য অপটিমাইজ করবেন তখন অটোমেটেক্যালী অন্নান্য সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে আপনার ওয়েবসাইট অপটিমাইজ হয়ে যাবে। কারন পুরো বিশ্বের সকল সার্চ ইঞ্জিনের কার্যপ্রনালী এবং উদ্দেশ্য একই থাকে যে, কেউ যখন তাদের ইঞ্জিনে কোনো বিষয় নিয়ে সার্চ করলে সেই বিষয়ের উপর সেরা ওয়েবসাইটিকে খুজে বের করে যেন তার সামনে তুলে ধরতে পারে। এটাই প্রতিটা সার্চ ইঞ্জিনের একমাত্র লক্ষ্য।
তো সকল সার্চ ইঞ্জিনের লক্ষ্য যেহেতু একই সেহেতু সব থেকে বড় যেটি রয়েছে সেটাতে ঠিকঠাক ভাবে অপটিমাইজ করতে পারলে ছোট গুলোতে এমনিতেই হয়ে যাবে। এছাড়াও অন্নান্য সার্চ ইঞ্জিন গুলোর জন্য সামান্য আলাদা কিছু অপটিমাইজেশন থাকতে পারে সে গুলোও ধারাবাহিক পর্বের মধ্যে আলোচনা করা হবে। তবে সার্চ ইঞ্জিন বলতে আমরা এক বাক্যে এক কথায় শুধু মাত্র গুগলকেই বুজে থাকবো। এমনকি যারা টেকনোলজির যুগে নতুন তারা হয়তো নাও জেনে থাকতে পারেন যে গুগল ছাড়া পৃথিবিতে অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে। আর আপনি যদি ইন্টারনেটে একটু ঘাটাঘাটি করে থাকেন একটু তাহলে হয়তো আলাদা কিছু সার্চ ইঞ্জিনের নাম আগে থেকে জেনে থাকতে পারেন।
তো আশা করি বুঝতে পেরেছেন এসইও এর জন্য আমরা এবং পুরো ইন্টারনেট দুনিয়া কেন গুগলের পিছনেই পড়ে থাকে।
একটা উদাহরন দিলে আশা করি ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন। মনে করুন গুগলে আমি একটি কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করলাম Best hotels in Melbourne এবং গুগল আমার কিছু রেজাল্টের তালিকা প্রদর্শিত করল।
উপরের চিত্রে খেয়াল করুন এই কিওয়ার্ডের উপর সে এক, দুই, তিন এভাবে পরপর কিছু ওয়েবসাইটের রেজাল্ট সাজিয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই ১নং সার্চ রেজাল্টটি কেন একে থাকলো? এই রেজাল্টি তো দুই নম্বরেও থাকতে পারতো আবার দুই নং এ যে ওয়েবসাইট টি আছে সেটি তো ২০ নম্বরেও থাকতে পারতো তাহলে সে দুই নং এই কেনো আছে? অর্থাৎ মূল কথা হলো গুগল এই যে ক্রমান্নয় গুলো করছে এগুলো সে কিসের ভিত্তিতে করছে?
বেশীর ভাগ মানুষই কোন কিছু সার্চ করে প্রথম চার-পাচটি রেজাল্টের উপরই বেশী ক্লিক করে থাকে এবং সব থেকে বেশী ক্লিক করে প্রথম রেজাল্টের উপর। এর ফলে গুগলের রেজাল্টের যতো উপরের দিকে যেতে পারবেন আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক ততো বৃদ্ধি পাবে। এজন্য গুগলের র্যঙ্কিংয়ের যে ফ্যক্টরগুলো আছে অর্থাৎ যে ফ্যক্টর গুলো মাথায় রেখে গুগল এই র্যঙ্কিং গুলো করে, সেগুলো সম্পর্কে আমাদের ভালো ধারণা থাকা প্রয়োজন।
গুগল অফিসিয়াল ভাবে জানিয়েছে যে তাদের ২০০ এরও বেশী Ranking Factors রয়েছে যেগুলোকে বিবেচনা করে সে র্যঙ্ক গুলোকে সাজিয়ে থাকে। তবে এই যে তাদের ২০০+ র্যঙ্কিং ফ্যক্টর রয়েছে এগুলো গুগল কখনোই কারো সামনে প্রকাশ করে না। কারন এই সিক্রেট গুলো যদি পাবলিশ হয়ে যায় তাহলে সবাই নিজেদের ওয়েবসাইটের কোয়ালিটির কথা চিন্তা না করে শুধুমাত্র র্যঙ্কিংয়ের কথায় চিন্তা করবে এবং এই ফ্যক্টর গুলোকেই বেশী করে অপটিমাইজ করা শুরু করবে ফলে ওয়েবসাইটগুলো কন্টেন্ট কোয়ালিটি ব্যপক হারে কমে যাবে যেটা গুগলের বিজনেসের উপর বড় ধরনের হুমকির প্রভাব ফেলবে। এজন্য তারা কখনোই এই ফ্যক্টর গুলোকে বাইরে প্রকাশ করে না।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে যেহেতু তারা এগুলো প্রকাশ করে না তাহলে আমরা এগুলো কিভাবে পাবো? অর্থাৎ আমরা কিভাবে জানবো যে কোনগুলোকে অপটিমাইজ করতে হবে?
এগুলো বিভিন্ন এসইও এক্সপার্টরা বিভিন্ন টপিকের উপর বিভিন্ন ভাবে এক্সপেরিমেন্ট করেছে এবং এর ফলে আমরা বেশ কিছু র্যঙ্কিং ফ্যক্টর সম্পর্কে জানতে পেরেছি যেগুলো অপটিমাইজ করার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনের র্যঙ্কিংয়ে আশা সম্ভব। এসকল ফ্যক্টরের মধ্যে আমরা কয়েকটি গুরুত্বপুর্ন Ranking Factor নিয়ে আজ আলোচনা করব।
তো...... আমি আপনাদের মোটামুটি একটা ধারণা দিলাম কোন কোন Ranking Factors গুলো গুগল বেশী প্রাধান্য দেয় তাদের র্যঙ্কিং গুলোকে সাজানোর জন্য। এখন এই যে বেশকিছু র্যঙ্কিং ফ্যক্টরের কথা বললাম গুগল এসকল ফ্যক্টরগুলোকে মিলিয়ে বেশ কিছু অ্যলগোরিদম তৈরি করেছে।
তো আশা করি বুজতে পেরেছেন এসইও এর ক্ষেতে গুগলের গুরুত্ব কতোখানি এবং গুগল তাদের র্যঙ্কিং গুলো সাজানোর জন্য কি কি Ranking Factors গুলোকে বেশী প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
Search Engine Optimization এর ক্ষেত্রে আমরা শুধুমাত্র গুগলকেই কেন গুরুত্ব দিচ্ছি? এবং Google Ranking Factor কি? এবং কিভাবে কাজ করে সে ব্যপারে বিস্তারিত জানবো।
Wikipedia এর দেওয়া এক তথ্য অনুযায়ী সার্চ ইঞ্জিনের দিক দিয়েঃ
- গুগলের সর্বমোট মার্কেট শেয়ার হল 74.06%,
- যেখানে Bing এর মার্কেট শেয়ার মাত্র 8.06%,
- Baidu এর মার্কেট শেয়ার মাত্র 10.94%, এবং
- Yahoo এর মার্কেট শেয়ার মাত্র 5.32%।
এখানে দেখা যাচ্ছে গুগল এর পর মোটামুটি বাইডু এর মার্কেট শেয়ার একটু বড় রয়েছে। তবে আরেকটি ব্যপার হচ্ছে বাইডু হচ্ছে একটি চাইনীজ সার্চ ইঞ্জিন মানে হলো এটা শুধুমাত্র চাইনার মানুষই ব্যবহার করে এবং এটি শুধু চাইনিজ ভাষায় সার্চ করার জন্যই ব্যবহার করা হয়। এবং চাইনা এতোটা জনবহুল দেশ যে, শুধুমাত্র চাইনার সার্চ দিয়েই পুরো বিশ্বে প্রায় ১১% মার্কেট শেয়ার দখল করে ফেলেছে এই বাইডু। তো সেক্ষেত্রে বাইডুর এই মার্কেট শেয়ার বাদ দিলে পুরো বিশ্বে গুগলের মার্কেট শেয়ার বেড়ে প্রায় ৯০% এর কাছাকাছি চলে যায়। এবং বাকি অন্নান্য সব সার্চ ইঞ্জিন গুলো মিলিয়ে ১০% এর মতো থাকে।
এখন চিন্তা করে দেখুন একটা সার্চ ইঞ্জিন যেটা পুরো বিশ্বে প্রায় ৮০-৯০% জায়গা দখল করে রেখেছে সেখানে অন্নান্য সার্চ ইঞ্জিন গুলোর রয়েছে মাত্র ১০-১৫ ভাগ অর্থাৎ পুরোবিশ্বে এতোগুলো মানুষ সার্চ ইঞ্জিন হিসেবে গুগল কেই বেছে নিয়েছে তাইলে এসইও এর জন্য কেন আমরা গুগল গুগল করবো না? আর কেনোই গুগল ছাড়া অন্নান্য সার্চ ইঞ্জিনের জন্য আমাদের ওয়েবসাইট অপটিমাইজ করার জন্য সময় কিংবা অর্থ ব্যয় করব?
এখন একটি প্রশ্ন থাকতে পারে আমরা যদি শুধুমাত্র গুগলের জন্য আমাদের সাইট অপটিমাইজ করি তাহলে এই Bing, Yahoo হাবিজাবি সার্চ ইঞ্জিনের যে ১০-১৫% ইউজারগুলো কে কেনো আমরা মিস করব কিংবা এই ইউজার গুলোকে মিস করা কি উচিত হবে?
হ্যা...... এটা ঠিক যে মার্কেটপ্লেস থেকে ১টি ইউজারও অনেক গুরুত্বপুর্ন কারন এখান থেকে বেশীর ভাগই অগ্রানিক টাফিক গুলো আসে অর্থাৎ তাদের আপনার ওয়েবসাইটের উপর হাইলি ইন্টারেস্ট থাকে, সে জন্য এখান থেকে একজন ইউজার হারানোও ঠিক হবে নাহ। তবে যখন আপনার ওয়েবসাইটটি গুগলের জন্য অপটিমাইজ করবেন তখন অটোমেটেক্যালী অন্নান্য সার্চ ইঞ্জিন গুলোতে আপনার ওয়েবসাইট অপটিমাইজ হয়ে যাবে। কারন পুরো বিশ্বের সকল সার্চ ইঞ্জিনের কার্যপ্রনালী এবং উদ্দেশ্য একই থাকে যে, কেউ যখন তাদের ইঞ্জিনে কোনো বিষয় নিয়ে সার্চ করলে সেই বিষয়ের উপর সেরা ওয়েবসাইটিকে খুজে বের করে যেন তার সামনে তুলে ধরতে পারে। এটাই প্রতিটা সার্চ ইঞ্জিনের একমাত্র লক্ষ্য।
তো সকল সার্চ ইঞ্জিনের লক্ষ্য যেহেতু একই সেহেতু সব থেকে বড় যেটি রয়েছে সেটাতে ঠিকঠাক ভাবে অপটিমাইজ করতে পারলে ছোট গুলোতে এমনিতেই হয়ে যাবে। এছাড়াও অন্নান্য সার্চ ইঞ্জিন গুলোর জন্য সামান্য আলাদা কিছু অপটিমাইজেশন থাকতে পারে সে গুলোও ধারাবাহিক পর্বের মধ্যে আলোচনা করা হবে। তবে সার্চ ইঞ্জিন বলতে আমরা এক বাক্যে এক কথায় শুধু মাত্র গুগলকেই বুজে থাকবো। এমনকি যারা টেকনোলজির যুগে নতুন তারা হয়তো নাও জেনে থাকতে পারেন যে গুগল ছাড়া পৃথিবিতে অন্য কোন সার্চ ইঞ্জিন রয়েছে। আর আপনি যদি ইন্টারনেটে একটু ঘাটাঘাটি করে থাকেন একটু তাহলে হয়তো আলাদা কিছু সার্চ ইঞ্জিনের নাম আগে থেকে জেনে থাকতে পারেন।
তো আশা করি বুঝতে পেরেছেন এসইও এর জন্য আমরা এবং পুরো ইন্টারনেট দুনিয়া কেন গুগলের পিছনেই পড়ে থাকে।
এখন চলুন জানা যাক গুগলের Ranking Factor কি? এবং এটি কিভাবে কাজ করে?
Ranking Factor: আমরা গুগলে কোনো কিওয়ার্ড সার্চ করলে গুগল একটি তালিকা অনুযায়ী রেজাল্ট গুলো দেখিয়ে থাকে। তো গুগল যেসকল তথ্যের উপর ভিত্তি করে এই তালিকাগুলো সাজিয়ে থাকে সেগুলোকেই Ranking Factor বলা হয়।একটা উদাহরন দিলে আশা করি ভালো ভাবে বুঝতে পারবেন। মনে করুন গুগলে আমি একটি কিওয়ার্ড লিখে সার্চ করলাম Best hotels in Melbourne এবং গুগল আমার কিছু রেজাল্টের তালিকা প্রদর্শিত করল।
উপরের চিত্রে খেয়াল করুন এই কিওয়ার্ডের উপর সে এক, দুই, তিন এভাবে পরপর কিছু ওয়েবসাইটের রেজাল্ট সাজিয়েছে। এখন প্রশ্ন হচ্ছে এই ১নং সার্চ রেজাল্টটি কেন একে থাকলো? এই রেজাল্টি তো দুই নম্বরেও থাকতে পারতো আবার দুই নং এ যে ওয়েবসাইট টি আছে সেটি তো ২০ নম্বরেও থাকতে পারতো তাহলে সে দুই নং এই কেনো আছে? অর্থাৎ মূল কথা হলো গুগল এই যে ক্রমান্নয় গুলো করছে এগুলো সে কিসের ভিত্তিতে করছে?
হ্যা... গুগলের কিছু Ranking Factor রয়েছে তার উপর ভিত্তি করেই Google এই ক্রমান্নয় গুলো সাজিয়ে থাকে।
এবং গুগল কিসের উপর ভিত্তি করে এই র্যর্ঙ্কগুলো করে সেগুলো যদি জানা থাকে তাহলে খুব সহজেই আমাদের ওয়েবসাইটে সেই বিষয়গুলোকে অপমাইজেশন করে গুগলের প্রথম পেজে নিয়ে আসতে পারবো। এবং সার্চ রেজাল্ট এর উপরের দিকে যেতে পারলে আমাদের সুবিধা কি হবে?বেশীর ভাগ মানুষই কোন কিছু সার্চ করে প্রথম চার-পাচটি রেজাল্টের উপরই বেশী ক্লিক করে থাকে এবং সব থেকে বেশী ক্লিক করে প্রথম রেজাল্টের উপর। এর ফলে গুগলের রেজাল্টের যতো উপরের দিকে যেতে পারবেন আপনার ওয়েবসাইটের ট্রাফিক ততো বৃদ্ধি পাবে। এজন্য গুগলের র্যঙ্কিংয়ের যে ফ্যক্টরগুলো আছে অর্থাৎ যে ফ্যক্টর গুলো মাথায় রেখে গুগল এই র্যঙ্কিং গুলো করে, সেগুলো সম্পর্কে আমাদের ভালো ধারণা থাকা প্রয়োজন।
গুগল অফিসিয়াল ভাবে জানিয়েছে যে তাদের ২০০ এরও বেশী Ranking Factors রয়েছে যেগুলোকে বিবেচনা করে সে র্যঙ্ক গুলোকে সাজিয়ে থাকে। তবে এই যে তাদের ২০০+ র্যঙ্কিং ফ্যক্টর রয়েছে এগুলো গুগল কখনোই কারো সামনে প্রকাশ করে না। কারন এই সিক্রেট গুলো যদি পাবলিশ হয়ে যায় তাহলে সবাই নিজেদের ওয়েবসাইটের কোয়ালিটির কথা চিন্তা না করে শুধুমাত্র র্যঙ্কিংয়ের কথায় চিন্তা করবে এবং এই ফ্যক্টর গুলোকেই বেশী করে অপটিমাইজ করা শুরু করবে ফলে ওয়েবসাইটগুলো কন্টেন্ট কোয়ালিটি ব্যপক হারে কমে যাবে যেটা গুগলের বিজনেসের উপর বড় ধরনের হুমকির প্রভাব ফেলবে। এজন্য তারা কখনোই এই ফ্যক্টর গুলোকে বাইরে প্রকাশ করে না।
এখন প্রশ্ন হচ্ছে যেহেতু তারা এগুলো প্রকাশ করে না তাহলে আমরা এগুলো কিভাবে পাবো? অর্থাৎ আমরা কিভাবে জানবো যে কোনগুলোকে অপটিমাইজ করতে হবে?
এগুলো বিভিন্ন এসইও এক্সপার্টরা বিভিন্ন টপিকের উপর বিভিন্ন ভাবে এক্সপেরিমেন্ট করেছে এবং এর ফলে আমরা বেশ কিছু র্যঙ্কিং ফ্যক্টর সম্পর্কে জানতে পেরেছি যেগুলো অপটিমাইজ করার মাধ্যমে সার্চ ইঞ্জিনের র্যঙ্কিংয়ে আশা সম্ভব। এসকল ফ্যক্টরের মধ্যে আমরা কয়েকটি গুরুত্বপুর্ন Ranking Factor নিয়ে আজ আলোচনা করব।
Top 5 Ranking Factor of Google.
- 1. Content Quality.
- 2. Domain Factors.
- 3. User Interaction.
- 4. Onsite Factors.
- 5. Offsite Factor.
1. Content Quality
গুগল কিংবা যেকোনো সার্চ ইঞ্জিনের সবথেকে গুরুত্বপূর্ন ফ্যক্টর হলো আপনার কন্টেন্টের কোয়ালিটি। আপনার কন্টেন্টের যদি কোয়ালিটি না থাকে আপনি যতই এসইও করেন কোনো লাভ হবে না। হইতো জোর-জবস্থি করে গুগলের র্যঙ্কিংয়ে আসতে পারবেন কিন্তু ৫দিন, ৭দিনের বেশী থাকতে পারবেন না, গুগল আপনাকে আউট করে দিবে। তাই গুগলের সর্ব প্রথম ভিত্তি হলো যখনই আপনি এসইও এর জন্য কোন কন্টেন্ট লিখবেম সেটা অবশ্যই কোয়ালিটিসম্পূর্ন হতে হবে। তা না হলে এসইও এর জন্য যতো কষ্ট করবেন পরে সবকিছু বৃথা যাবে সেজন্য সর্বপ্রথম আপনার ওয়েবসাইটের কন্টেন্ট এর উপর নজর দিন।2. Domain Factors
এর পর যে বিষয়টি আসে সেটি হলো ডোমেইন ফ্যক্টরস এবং র্যঙ্কিং ফ্যক্টরে এটি বিশেষ জায়গা দখল করে রয়েছে। এই ফ্যাক্টরগুলোর মধ্যে রয়েছে ডোমেইনের বয়স অর্থাৎ ডোমেইন কতদিনের পুরোনো, ডোমেইনের অথোরিটি কেমন এবং সেই ওয়েবসাটের জন্য ডোমেইনটির ভ্যলু কতোটুকু সেই বিষয় গুলোকে বিবেচনা করে গুগল বিভিন্ন ডোমেইন ফেক্টরের উপর করে ভিত্তি করে তাদের র্যঙ্কিংগুলো সাজিয়ে থাকে।3. User Interaction
র্যঙ্কিং ফ্যক্টরে এর পর যে বিষয়টি আসে সেটা হলো ইউজার ইন্টারেকশোন। আপনি হয়তো কল্পনাও করতে পারবেন না ইউজার ইন্টারেকশন কতোটা চমৎকার জিনিস এবং গুগল কিভাবে ইউজার ইন্টারেশন ট্র্যাক করে। মনে করুন সার্চ ইঞ্জিনে সার্চ করে আমি কোনো ওয়েবসাইটের একটি পেজে প্রবেশ করলাম, তো প্রবেশ করার পর আমি সেই পেজে কতক্ষন ধরে ছিলাম, সেই পেজে কি আমি একটিভ ছিলাম অর্থাৎ পেজটিকে স্ক্রল করে কি পেজের সব লেখাগুলো পড়েছি নাকি শুধু ক্লিক করে রেখে দিয়েছি, তারপর সেই পেজ থেকে ক্লিক করে অন্য কোনো পেজে গিয়েছি কিনা, নাকি শুধুমাত্র সেই পেজ থেকেই আমি তাদের ওয়েবসাইট থেকে বের হয়ে গেছি অর্থাৎ ওই পেজে যাওয়ার পর আমার একটিভিটি কেমন ছিলো এর বিস্তারিত তর্থ্য গুগল ট্র্যাক করে থাকে। এখন হয়তো আপনি বুঝতে পারছেন গুগল তাহলে আপনার ওয়েবসাইটের প্রত্যেকটি ইউজার কে পুঙ্খানুপুঙ্খ রুপে ট্র্যাক করে থাকে। এর ফলে ধরুন আপনার কোনো কন্টেন্ট সার্চ ইঞ্জিনের র্যঙ্কিংয়ে আসলো এবং লোকজন সেটাতে ঢুকে দেখলো সেটার কোনো কোয়ালিটি নেই এবং পুরো না পড়েই বেরিয়ে চলে গেল তার মানে সেটি গুগলকে জানান দিচ্ছে যে আপনার কন্টেন্টের কোয়ালিটি নেই এরকম ভাবে চলতে থাকলে খুব শীঘ্রই আপনি র্যঙ্কিং থেকে বিতারিত হবেন। এই কারনে এসইও এর ক্ষেত্রে ইউজার ইন্টারেকশন অত্যত্ন গুরুত্বপুর্ন একটি বিষয় এবং পরে আমরা এ নিয়ে প্রাকটিক্যলি ভাবে আলোচনা করব।4. Onsite Factors
এর পর যে বিষয়টি আসে সেটি হলো অনসাইট ফ্যক্টর, এর মধ্যে রয়েছে আপনার ওয়েবসাইটের অন পেজ অপটিমাইজেশন কি পরিমান, আপনার হোস্টিং সার্ভারের স্পীড কেমন, সার্ভারের ডাউন টাইম কেমন ইত্যাদি অনেক গুলো বিষয়ের উপর ভিত্তি করে গুগল তার র্যঙ্কিং গুলোকে সাজিয়ে থাকে। এসকল বিষয়গুলো নিয়ে পরে আমরা বিস্তারিত আলোচনা করব।5. Offsite Factors
সর্বশেষ যে ফ্যক্টর নিয়ে কথা বলব সেটা হলো অফসাইট ফ্যক্টর। এই ফ্যক্টরের মধ্যে যে বিষয়টি সবথেকে গুরুত্বপূর্ন সেটা হলো ব্যকলিঙ্ক (Backlink)। একটি ওয়েবসাইটের এসইও তে ব্যকলিঙ্কের গুরুত্ব অনেক। ব্যকলিঙ্ক কি? কিভাবে করতে হয় সে বিষয়গুলো নিয়েও পরে বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হবে।তো...... আমি আপনাদের মোটামুটি একটা ধারণা দিলাম কোন কোন Ranking Factors গুলো গুগল বেশী প্রাধান্য দেয় তাদের র্যঙ্কিং গুলোকে সাজানোর জন্য। এখন এই যে বেশকিছু র্যঙ্কিং ফ্যক্টরের কথা বললাম গুগল এসকল ফ্যক্টরগুলোকে মিলিয়ে বেশ কিছু অ্যলগোরিদম তৈরি করেছে।
অ্যালগোরিদম (Algorithm) হচ্ছে কোন একটা কাজ সুবিন্যস্ত উপায়ে ধাপে ধাপে শুরু থেকে শেষ করার একটি পদ্ধতি।
ইতিমধ্যে আমরা গুগলের বিভিন্ন ধরনের অ্যলগোরিদম পেয়েছি যেমনঃ- Google humming bird
- Google panda
- Google penguin
- Google Mobile Update ইত্যাদি
এবং সম্প্রতি গুগল Rank Brain নিয়ে কাজ করতেছে এটি এমন ভাবে কাজ করবে যে ইউজাররা যখন গুগল ব্যবহার করবে তাদের কাছ থেকে বিভিন্ন হিন্ট বিভিন্ন টিপস নিয়ে মেশিন নিজে নিজে শিখবে এবং সেই অনুযায়ি তাকে পরে রেজাল্ট প্রদর্শন করবে।
আরেকটি ব্যপার হলো বিভিন্ন সময় গুগল বিভিন্ন ফ্যক্টর গুলোর উপর বেশী নজর দেই যেমন কোনো সময় হইতো তারা কন্টেন্ট কোয়ালিটি এর উপর বেশী নজর দেয় আবার কোনো সময় তারা ব্যকলিঙ্ক এর উপর বেশী নজর দেই সেজন্য আপনি যদি এই ফ্যক্টর গুলোর যেকোনো একটির উপর ওভার অপটিমাইজেশন করতে থাকেন এবং অন্য কোনো একটি বিষয়ের উপর নজর না দেন থাহলে সম্ভবনা থাকে আপনাকে পেনাল্টি দেওয়ার। পেনাল্টি দেওয়া মানে হচ্ছে আপনাকে সার্চ র্যঙ্কিং থেকে পিছিয়ে দেওয়া অর্থাৎ আপনার পেজের র্যঙ্ক ছিলো দুই নম্বরে গুগল পাঠিয়ে দিলো দুইশ নম্বরে এটাকে পেনাল্টি দেওয়া বলে।তো আশা করি বুজতে পেরেছেন এসইও এর ক্ষেতে গুগলের গুরুত্ব কতোখানি এবং গুগল তাদের র্যঙ্কিং গুলো সাজানোর জন্য কি কি Ranking Factors গুলোকে বেশী প্রাধান্য দিয়ে থাকে।
নতুনদের কাছে হইতো বিষয় গুলো একটু কঠিন মনে হতে পারে। তবে চিন্তার কোনো কারন নেই আপাদত এগুলো জেনে রাখুন। বিষয় গুলো নিয়ে যখন প্রাকটিক্যলী ও বিস্তারিত ভাবে আলোচনা করা হবে তখন বিষয় গুলো অনেক সহজ মনে হবে। আজ এপর্যন্তই, লেখাগুলো ভালো লাগলে কিংবা কোথাও বুঝতে সমস্যা হলে অবশ্যই কমেন্ট করে জানাবেন। ভালো থাকবেন সবাই।